• ২৪ আষাঢ় ১৪৩২, শনিবার ১২ জুলাই ২০২৫ ই-পোর্টাল

Janatar Katha

Banner Add
  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও
  • এছাড়াও
    • উৎসব
    • ব্যবসা
    • স্বাস্থ্য
    • শিক্ষা
    • প্রযুক্তি
    • হেঁসেল

TMC

রাজনীতি

নন্দীগ্রামে আক্রান্ত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপর চক্রান্ত করে আক্রমণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। নন্দীগ্রামে রেয়াপাড়ায় তিনি ঘরভাড়াও নিয়েছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় অবিযোগ করেছেন,গাড়ি দাঁড় করিয়ে মন্দিরে প্রণাম করছিলাম তখন চার-পাঁচ জন আমাকে ঠেলে দেয়। তখনই আমার মুখে ও পায়ে আগাত লাগে। আপাতত কলকাতায় যাচ্ছি।এদিন হলদিয়ায় মনোনয়নপত্র জমা দেন। রাণীচকে ধর্মীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছিলেন। সেখানেই ঘটনাটি ঘটে। এদিন নন্দীগ্রামে থাকার কথা ছিল। বিজেপি পুরো বিষয়টা নাটক হিসাবে দেখছেন। বিজেপির রাজ্য সহসভাপতি তথা সাংসদ অর্জুন সিং বলেন, এই ঘটায় দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ কর্তাদের সাসপেন্ড করা উচিত। সূত্রের খবর,, ভিড়ের মধ্যে নন্দীগ্রামের বিরুলিয়ায় ধাক্কা-ধাক্কিতে মুখ থুবড়ে পড়ে যান মমতা। তাঁর পায়ে প্রচণ্ড চোট লেগেছে। মুখ্যমন্ত্রীকে তড়িঘড়ি কলকাতায় আনা হচ্ছে। জানা গিয়েছে এসএসকেএম-এ তাঁর চিকিৎসা হবে। ঘটনার সময় পুলিশ সুপার বা কোনও রাজ্য পুলিশ ছিল না। বলেই অভিযোগ মমতার। জানা গগিয়েছে, খবর জানাজানি হতেই নির্বাচন কমিশন জেলা প্রশাসনের থেকে রিপোর্ট তলব করেছে।ভোটের বাংলায় এই ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তা নিয়ে বড়সড় প্রশ্ন উঠে গেল। জেড প্লাস নিরাপত্তা রয়েছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার মধ্যেই নিরাপত্তার বেড়াজাল ভেঙে কীভাবে এত মুখ্যমন্ত্রীকে ধাক্কা দিলেন? সব মহলেই এই প্রায় উঠেছে।

মার্চ ১০, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে বাড়ি ভাড়া নিচ্ছেন মুখ্যমন্ত্রী, বানাবেন কুঁরে ঘর

সবার প্রথম তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থীর নাম ঘোষণা হয়েছে নন্দীগ্রামে। ওই কেন্দ্রে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে শুভেন্দু অধিকারীর নাম ঘোষণা করেছে। সম্মুখ সমরে মমতা-শুভেন্দু। জমি আন্দোলনের পর এবার রাজনীতির উত্তাপে দগ্ধ নন্দীগ্রাম। এবারের বিধানসভা নির্বাচনে সব থেকে নজরকাড়া কেন্দ্র নন্দীগ্রাম। মঙ্গলবার নন্দীগ্রামের বটতলার সভা থেকে প্রচারে ঝড় তুললেন তৃণমূল প্রার্থী তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নিজে সেখানে দুই কামরার বাড়ি ভাড়া নেওয়ার কথাও ঘোষণা করলেন। স্মৃতি আওড়ালেন নন্দীগ্রাম আন্দোলনের।একসময় বামপন্থীরা স্লোগান তুলছিল ভুলতে পারি বাপের নাম, ভুলবো নাকো ভিয়েতনাম। এদিন মমতা বলেন, ভুলতে পারি সবার নাম, ভুলবো নাকো নন্দীগ্রাম। এভাবেই নন্দীগ্রামকে সম্মান জানান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি বলেন, সিঙ্গুরে আন্দোলন শুরু হয় নন্দীগ্রামের আগে। সিঙ্গুর আন্দোলন না হলে নন্দীগ্রামের আন্দোলনে তুফান হত না। আমি নিজেও গ্রামের মেয়ে। শহরে মানুষ হয়েছি। সেটাও ভালবাসার জায়গা। ছোটবেলা গ্রামেই কেটেছে। আলে আলে ঘুরে বেড়াতাম। ধান কাটতাম। সর্ষে ক্ষেতে যেতাম। গ্রামের প্রতি আমার টান আছে। সিঙ্গুর বা নন্দীগ্রামে যে কোনও এক জায়গায় আমি প্রার্থী হতাম। রাজনৈতিক মহলের মতে, এভাবেই গ্রামের আবেগ ছুঁতে চাইলেন মুখ্যমন্ত্রী।আন্দোলনের স্মৃতি উসকে মমতা বলেন, গন্ডগোলের সময় একবার তাহের(আবু তাহের) ফোন করছে, একবার সুফিয়ান(সেখ সুফিয়ান) ফোন করছে। গুলির শব্দ শোনাচ্ছেন ফোনে। যাঁদের থাকার কথা ছিল তাঁরা একটা গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়েও ছিলেন না। ১০ নভেম্বর সূর্য উদয়। ১০ জনকে টানতে টানতে নিয়ে গিয়ে কেটে ভাসিয়ে দিয়েছে না কী করেছে কেউ জানে না। তেখালিতে গুলি চালাচ্ছে, আমার গাড়িতে গুলি লেগেছে। গোকুলনগর, তেখালি, সোনাচূড়া বিভিন্ন গ্রামের নাম বলতে থাকেন মমতা। মমতার বক্তব্য, তাঁকেও বাইরের লোক বলে অভিহিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।বেশ কয়েকটি জনসভায় বামেদের বিজেপিকে ভোট দেওয়ার জন্য আবেদন করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বাম দলেও অনেক ভাল মানুষ আছেন বলেও মন্তব্য করেছিলেন। এদিন নন্দীগ্রামে মমতা বলেন, পুরনো অত্যাচারী সিপিএম চলে এসেছে। বিজেপি এদের নিয়ে এসেছে। নন্দীগ্রামে লক্ষ্মণ শেঠের সঙ্গে কাজ করছে। সিপিএম, কংগ্রেস ও বিজেপি এক। হুমকি দিচ্ছে তোমার বিরুদ্ধে কেস আছে! এসব দুমাস করে নাও। সাতদিন পরে তোমরা কোথায় যাবে?এদিনের সভায় নন্দীগ্রামের উন্নয়নের ফিরিস্তি দিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। একইসঙ্গে বেশ কিছু প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, নন্দীগ্রাম ও হলদিয়াকে জুড়তে সেতু তৈরি করা হবে। মডেল নন্দীগ্রাম করব। বেকারদের চাকরি হবে। নন্দীগ্রামে বিশ্ববিদ্যালয় করব। আমি চাই এখানকার ছেলেমেয়েরা পড়াশুনা করুক। মমতা জানিয়ে দেন, নন্দীগ্রামে রুইয়া পাড়ায় দুটি রুমের একটা বাড়ি ভাড়া নিয়েছি। পরে একটা কুঁড়ে ঘর বানিয়ে নেব। এখানে ভোট পয়লা এপ্রিল। ওদের এপ্রিল ফুল করে দেবেন। পয়লা এপ্রিল নন্দীগ্রামে খেলা হবে। তিন মাস অন্তর তিনি নন্দীগ্রামে আসবেন বলেও জানিয়ে দেন।

মার্চ ০৯, ২০২১
রাজনীতি

"খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে", প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে বললেন মমতা

প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করল তৃণমূল কংগ্রেস। কালিঘাটে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সাংবাদিক বৈঠকের শুরুতেই জানিয়ে দেন পাহাড়ের তিনটে সিট গোর্খা জনমুক্তি মোর্চাকে ছাড়া হয়েছে। বাকি ২৯১ আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেন তিনি। এদিন তৃণমূল নেত্রীর সঙ্গে সাংবাদিক বৈঠকে হাজির ছিলেন সুব্রত বক্সী, পার্থ চট্টোপাধ্যায়, সৌগত রায়, ফিরহাদ হাকিম, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, সুব্রত মুখোপাধ্যায়। ৫০ জন মহিলা প্রার্থী দেবে তৃণমূল। ৪২ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী হচ্ছেন। তপসিলি ৭৯ জন। মমতা বললেন, খেলা হবে, দেখা হবে, জেতা হবে। মমতা এদিন বলেন, আমি কথা দিয়ে কথা রাখি। আমি নন্দীগ্রামেই দাঁড়াব। ভবানীপুর কেন্দ্রে প্রার্থী হচ্ছেন শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। রাসবিহারী কেন্দ্রে তৃণমূল প্রার্থী হবেন দেবাশিস কুমার। অতীন ঘোষ কাশীপুর-বেলগাছিয়া, রাজ চক্রবর্তী ব্যারাকপুর, কাঞ্চন মল্লিক উত্তরপাড়া, ইদ্রিস আলি ভগবানগোলা, রত্না চট্টোপাধ্যায় বেহালা পূর্ব, সিঙ্গুর বেচারাম মান্না, মদন মিত্র কামারহাটি, বিধাননগর সিজিত বসু, সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী মন্তেশ্বর। বীরবাহা হাঁসদা ঝাড়গ্রা, কৃষ্ণেন্দু নারায়ন চৌধুরী ইংরেজবাজার, উদয়ন গুহ দিনহাটা, পার্থ চট্টোপাধ্যায় বেহালা পশ্চিম, হুমায়ুন কবির ডেবরা, সায়নী ঘোষ আসানসোল দক্ষি, জ্যোতিপ্রয় মল্লিক হাবড়া, অদিতি মুন্সী রাজারহাট-গোপালপুর, চিরঞ্জিত চট্টোপাধ্যায় বারাসাত, সায়ন্তিকা ব্যানার্জী বাঁকড়া, সোহম চক্রবর্তী চন্ডীপুর, মনোজ তিওয়ারি শিবপুর, লাভলি মিত্র সেনারপুর দক্ষিন, অরূপ বিশ্বাস টালিগঞ্জ, অরূপ চক্রবর্তী তালডাংরা, চন্দ্রনাথ সিনহা বোলপুর, ব্রাত্য বসু দমদম, কোশানূ মুখোপাধ্যায় কৃষ্ণনগর উত্তর।

মার্চ ০৫, ২০২১
রাজনীতি

‘হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার’, কড়া প্রতিক্রিয়া বিজেপি নেতৃত্বের

হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই মন্তব্যে রেরে করে উঠেছে বিজেপি নেতৃত্ব। তাঁরা প্রশ্ন তুলেছেন মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা প্রয়োগ নিয়ে। বিজেপির কোনও নেতা টুইট করেছেন তো কেউ বক্তব্য রাখতে গিয়ে ওই কটাক্ষের কড়া জবাব দিয়েছেন।বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জে জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নাম না করে কটাক্ষ করেছেন নরেন্দ্র মোদি ও অমিত শাহকে। মমতা বলেন, হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার। মমতার সভার ৪৮ ঘণ্টা আগে এখানেই সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। রাবণ ও দানব মিলে দেশ চালাচ্ছে বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মমতা। এই নিয়ে বিজেপি নেতৃত্ব কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন।তৃণমূলনেত্রীর হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূত কিমাকার বক্তব্যের প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়ো ফেসবুকে লেখেন, ছিঃ !!! এই একজন মূখ্যমন্ত্রীর ভাষা !! এই ভাষা বলতে আপনার যে লজ্জা করে না তা আমরা বহুদিন আগেই দেখেছিজেনেছি কিন্তু আমাদের তো লজ্জা আছে, বাঙালির তো আত্মভিমান আছে, লজ্জাও আছে !! সারা পৃথিবীর বাঙালির মাথা আপনি হেঁট করে দিচ্ছেন !! আপনি আবার নিজেকে বাংলা গর্ব বলেন???বিজেপির এই রাজ্যের কোইনচার্জ অমিত মালব্য এদিন মমতার মন্তব্যের বিরোধিতা করে টুইটে লেখেন, নিশ্চিতভাবে পশ্চিমবঙ্গে গেরুয়া হাওয়া অনুভূত হচ্ছে।পিসির তা অসহ্য লাগছে। তাই এই ধরনের ভাষা ব্যবহার করছেন। যা বাংলার সংস্কৃতি নয়। শারীরিক গঠন নিয়ে প্রধানমন্ত্রীস্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকে আক্রমণ করছেন। আসলে পিসি হেরে গিয়েছেন। এদিন মধ্য কলকাতার লেবুতলা পার্কে দলীয় সভায় বিজেপি নেতা রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়ও মুখ্যমন্ত্রীর মন্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে তোপ দেগেছেন। রাজীব বলেন, কখনও তুইতোকারি করছেন, কখনও বিরোধী দলের নেতার শারীরিক গঠন নিয়ে কটাক্ষ করছেন। এগুলো কী মুখ্যমন্ত্রীর ভাষা হওয়া উচিত?রাজনৈতিক মহলের মতে, সব কিছুকে ছাপিয়ে এবার বাঙালি, বাংলার মনীষী, বহিরাগত নিয়েই ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে ময়দানে নেমেছে তৃণমূল কংগ্রেস ও ভারতীয় জনতা পার্টি। একই বিষয় নিয়ে একদল আক্রমণ করছে প্রতিপক্ষ পাল্টা মন্তব্য করছে।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
রাজনীতি

‘হোঁদল কুতকুত’-‘কিম্ভূতকিমাকার’, নাম না করে শাহ-মোদিকে কটাক্ষ মমতার

এখানেই দুদিন আগে সভা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। তার আগেই রাজ্যে এসেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বুধবার হুগলির সাহাগঞ্জের জনসভা থেকে নাম না করে শাহ-মোদিকে তীব্র কটাক্ষ করলেন তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মন্তব্য করলেন, হোঁদল কুতকুত-কিম্ভূতকিমাকার । গত সোমবার এই মাঠেই সভা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাবণ ও দানব মিলে দেশ চালাচ্ছে বলেও কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন মমতা।এই সভাতেই বাংলা চলচ্চিত্রের এক ঝাঁক তারকা তৃণমূলে যোগ দেন। এদিন ঘাসফুল শিবিরে ভিড়েছেন কাঞ্চন মল্লিক, সায়নী ঘোষ, জুন মালিয়া, সুদেষ্ণা রায়, মানালী দে। এছাড়াও তৃণমূলে যোগ দেন ক্রিকেটার মনোজ তিওয়ারি ও শিক্ষাবিদ অনন্যা চট্টোপাধ্যায়। এদিনও তৃণমূলনেত্রী জানিয়ে দিয়েছেন গোলপোস্টের নীচে তিনিই দাঁড়াবেন। একদিকে থাকবে তৃণমূল, অন্যদিকে সিপিএম-কংগ্রেস-বিজেপি। মমতার দাবি, সব ওপর দিয়ে চলে যাবে। একটা বলও গোলপোস্টে ঢুকবে না।তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, ভাবা যায় দেশের প্রধানমন্ত্রী মিথ্যা কথা বলছেন। এদেশে এখন দুটো নেতা, একটা হোঁদল কুতকুত। আরেকটা কিম্ভূতকিমাকার। আমি এর ইংরেজি, হিন্দি জানি না। এদিকে মঙ্গলবারই অভিষেকের বাড়িতে কয়লাকাণ্ডের তদন্ত করতে গিয়েছিল সিবিআই। জিজ্ঞাসাবাদ করে সাংসদপত্নী রুজিরাকে। সিবিআই আসার আগে মমতা পৌঁছান তাঁর ভাইপোর বাড়িতে। এদিন মমতা বলেন, ঘরে ঢুকে বাইশ-তেইশ বছরের এক বউকে কয়লা চোর বলছে। আর কয়লা চোরেদের নিজেরা কোলে করে ঘুরছেন। আমার বাড়ির মা-বোনেরা কয়লা চোর? তোমার সারা গায়ে ময়লা। নোটবন্দির ময়লা।

ফেব্রুয়ারি ২৪, ২০২১
রাজনীতি

মুখ্যমন্ত্রীও বলছেন খেলা হবে, কী ভূমিকা নেবেন মমতা?

খেলা হবে স্লোগানে মাতোয়ারা বাংলার রাজনীতি। ডান-বাম সব পক্ষই বলছে খেলা হবে। কী খেলা হবে তা কেউ ব্যাখ্যা করছে না। তবে খেলায় জিতব বলে সকলেই দাবি করছে। এরই মধ্যে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি খেলবেন গোলরক্ষকের ভূমিকায়। তিনি যে কারও চমকানি ধমকানিতে ভয় পান না, ফের হুঁশিয়ার করেছেন মমতা। তাছাড়া জয় বাংলা স্লোগান যে বঙ্গবন্ধু মুজিবর রহমান দিয়েছেন সেকথাও স্মরণ করিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী।খেলা হবে-তে তিনি থাকছেন বলেই ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর। মমতা বলেছেন, একুশেই চ্যালেঞ্জ হবে। চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করলাম দেখি কার জোর কত বেশি। একুশে একটাই খেলা হবে, আমি থাকব গোলরক্ষক। কারা হারে কারা জেতে সেটা আমি দেখতে চাই। জয় বাংলা স্লোগান নিয়ে কটাক্ষ করে আসছে পদ্মশিবির। এটা বাংলাদেশের স্লোগান বলেই বিজেপির দাবি। সেই দাবিকেই সিলমোহর দিলেন খোদ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তৃণমূল নেত্রী বলেন, যদি জেলে পাঠিয়ে দেয় তাহলেও আমি জেল থেকে ডাক দেব বঙ্গবন্ধুর মতো জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় বাংলা, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ, জয় হিন্দ, বন্দেমাতরম। হারতে আমরা শিখিনি আমরা হারব না। হারাতে আমাদের পারবে না। এটাই আমাদের ভাষা দিবসে আমাদের শপথ। ভাষা দিবসের অঙ্গীকার।ভাষা দিবসে মমতার আক্ষেপ কেন এই রাজ্যের নাম বাংলা হবে না। এটা তো রাজ্য বা প্রদেশ। বাংলাদেশের সঙ্গে মিলবে কেন? বলেন মমতা। তিনি বলেন, ওড়িষা হবে, বাংলা হবে না। বরাবরই বাংলার প্রতি বিমাতৃসুলভ আচরণ। এটাতো বাংলা রাজ্য। বাংলাদেশ তো নয়। পাকিস্তানেও তো পাঞ্জাব আছে। তাতে কী হয়েছে। নেতাজি সুভাষ বোস, রবীন্দ্রনাথকে অবহেলিত হতে হয়েছে। কেউ কেউ বলেন, বাংলা মানেই বাঙ্গাল ওতো সবসে জাদা খারাপ হ্যায়। বাঙাল বলেছে কাঙাল বলেছে কত কিছু বলেছে।

ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
দেশ

'দম বন্ধ হয়ে আসছে', রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দীনেশ ত্রিবেদীর, পদ্মশিবিরে যোগ?

রাজ্যসভার তৃণমূল সাংসদ দীনেশ ত্রিবেদী পদত্যাগের কথা জানিয়ে দিলেন অধিবেশনেই। শুক্রবার দীনেশ রাজ্যসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বাংলায় মানুষের উপর অত্যাচার চলছে। এভাবে আর চুপ করে থাকা যায় না। আমার দম বন্ধ হয়ে আসছে। আমার অন্তরাত্মা ডাক দিয়েছে। আমি রাজ্যসভা থেকে ইস্তফা দিচ্ছি। হঠাৎই তাঁর এই ঘোষণায় হইচই শুরু হয়ে যায়। শোরগোল পড়ে যায় রাজনৈতিক মহলে। প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তাহলে তিনি কি পদ্মশিবিরে যোগ দিতেচলেছে? এ দিন দীনেশ ত্রিবেদী বিবেকানন্দের উক্তি ও পড়ে শোনান। তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন, আমরা রাজ্যসভায় বসে আছি। অথচ মানুষের উপর যে অত্যাচার, অন্যায় হচ্ছে তার জন্য কিছু করতে পারছি না। এটা মেনে নেওয়া যায় না। দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফা প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়ের বক্তব্য, এটা দুর্ভাগ্যজনক। তবে তিনি একেবারেই অসন্তোষের কথা বলেননি তাও নয়। তবে নির্বাচনের মুখে এভাবে দল ছেড়ে চলে গেলে অসুবিধা হয়। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ দীনেশ ত্রিবেদীর ইস্তফাকে স্বাগত জানিয়েছেন। রাজ্যসভার এই তৃণমূল সাংসদ পদত্যাগ করায় বেজায় খুশি ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিং। তিনিও স্বাগত জানিয়েছেন দীনেশ ত্রিবেদীকে। উল্লেখ্, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে অর্জুন সিংয়ের বিপক্ষে দাঁড়িয়েছিলেন দীনেশ ত্রিবেদী।

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
রাজনীতি

ভোটে দাঁড়াবেন না রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী, তিন লাইনের চিঠি মমতাকে

শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে মাটি উৎসবের মঞ্চে হাজির ছিলেন না। বুধবার সকালে সরাসরি টুইট করে রাজ্যের প্রাক্তনমন্ত্রী রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায় জানিয়ে দিলেন, আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তিনি লড়বেন না। গত ৩০ জানুয়ারি বর্ধমান দক্ষিণের দুইবারের বিধায়ক চিঠি লিখে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে সেকথা জানিয়েও দিয়েছেন। এই খবরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে রাজনৈতিক মহলে।২০১১ বিধানসভা নির্বাচনে বর্ধমান দক্ষিণে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিলেন বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অবসরপ্রাপ্ত বাংলার অধ্যাপক রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। প্রথমে অবশ্য দলের শীর্ষ নেতৃত্ব প্রার্থী হিসাবে ডা. স্বরূপ দত্তের নাম ঘোষণা করেছিল। তাঁকে প্রার্থী করা নিয়ে দলের মধ্যে বিতর্ক শুরু হয়েছিল। বর্ধমানে দলের একাংশ স্বরূপ দত্তের নামে প্রচারও শুরু করে দিয়েছিল। কিন্তু পরে তাঁকে বদলে প্রার্থী করা হয় রবিরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়কে। জয় পেয়ে রাজ্যের ক্যাবিনেট মন্ত্রীও হয়ে যান রবিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। এখনও তিনি বর্ধমান উন্নয়ন সংস্থার চেয়ারম্যান রয়েছেন।আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রী @MamataOfficial কেও এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি।আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীদের ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি। pic.twitter.com/h0CYEUZCtW Rabiranjan Chattopadhyay (@RabiranjanChat1) February 10, 2021এদিন প্রবীণ এই তৃণমূল বিধায়ক টুইটে লিখেছেন, আগামী বিধানসভা নির্বাচনে আমার বয়স ও শারীরিক কারণে প্রতিদ্বন্দ্বিতা না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। দলনেত্রীকে এই বার্তা পাঠিয়ে দিয়েছি। আমার প্রিয় বর্ধমানবাসীকে ধন্যবাদ জানাই ও তাঁদের কল্যাণ কামনা করি। এই টুইটের পরেই বর্ধমান শহরে তৃণমূলের প্রার্থী কে হবেন তা নিয়ে রীতিমতো জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছে।সম্প্রতি বর্ধমানে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব চরমে ওঠে। এক গোষ্ঠী মিছিল করলেই আরেক গোষ্ঠী পাল্টা মিছিল করেছে। এদিকে বর্ধমানের প্রাক্তন পুরপতি আইনুল হক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছেন। তাঁর দলে যোগ দেওয়া নিয়ে প্রকাশ্যে বিদ্রোহী হয়েছেন আরেক তৃণমূল নেতা খোকন দাস। প্রকাশ্যে বিরোধিতাও করেছেন। বর্ধমান শহরে গোষ্ঠীকলহের জেরে সংঘর্ষও হয়েছে। দলবল নিয়ে থানা ঘেরাও করেছেন খোকন দাস। এককথায় নজীরবিহীন গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব শুরু হয়ে যায় বর্ধমান শহরে। দলের একাংশ মনে করেন, কোনও গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই কখনও সামলাতে পারেননি রবিবরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়। ২০১৬ তে বিধায়ক হওয়ার পর দল রবিবাবুকে আর মন্ত্রীও করেনি। শোনা যায় ক্রমশ দলনেত্রীর সঙ্গেও তাঁর দূরত্ব বেড়ে গিয়েছিল। শেষমেশ রবিরঞ্জনবাবু টুইট করে ঘোষণা করে দিলেন তিনি আর প্রার্থী হবেন না।বর্ধমানের রাজনৈতিক মহলে জল্পনা, আইনুল ও খোকন শিবির প্রার্থীপদের প্রত্যাশী। তার মধ্যেই বেড়েছে বিজেপি। বেশিরভাগ ওয়ার্ডে জিতলেও বর্ধমান দক্ষিণে সামান্য ভোটে পিছিয়ে ছিল গেরুয়া শিবির। এই ফলাফলে উৎসাহিত বিজেপি আসন্ন নির্বাচনে টার্গেট করেছে এই আসনটিকেও।

ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২১
রাজনীতি

"ভাল হয়েছে পাপ বিদায় নিয়েছে", তোপ তৃণমূল সুপ্রিমোর

কালনায় দলীয় জনসভা করার পর বর্ধমানে মাটি উৎসবে অংশ নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তারপর তিনি মুর্শিদাবাদে জনসভা করেন।রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। একাধিক তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে ভিড়েছেন। মঙ্গলবার কালনার জনসভায় তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, দুষ্টু গরুর থেকে শূন্য গোয়াল ভাল। কয়েকটা দুষ্টু গরু হাম্বা হাম্বা ডাকতে ডাকতে ইদার উধার করে বেড়াচ্ছেন। নিজেদের দুর্নীতি চাপা দেওয়ার জন্য তারা গেছেন। ভালো হয়েছে পাপ বিদায় নিয়েছে। যাঁরা তৃণমূলে থেকে খারাপ করে তাদের তৃণমূল কংগ্রেসের থাকার প্রয়োজন নেই।কালনার তৃণমূল বিধায়ক বিশ্বজিৎ কুন্ডু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। কালনা বিধানসভা আসন এবার তাই তৃণমূলের কাছে চ্যালেঞ্জ। নাম না করে বিঁধেছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকেও। কালনায় দাঁড়িয়ে মমতা বলেন, বুঝে তো নিতেই হবে বিজেপি পার্টিকে। যে পার্টিটা কোনও ধর্ম জানে না। জানে না হিন্দু ধর্মের মধ্যে কত ধর্ম আছে। স্বামী বিবেকানন্দকে বিবেকানন্দ ঠাকুর বলে দিচ্ছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের পদবী বসিয়ে দিচ্ছেন।কৃষি ভান্ডারে দাঁড়িয়ে তৃণমূল নেত্রী জানিয়ে দেন, কৃষকদের জন্য কি কি করছে রাজ্য সরকার। ধান প্রতিবার কেনা হবে বলেও ঘোষনা করেন মমতা। পদ্মশিবিরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে মমতা বলেন, বিজেপি টাকা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে। টাকা দিলে খেয়ে নেবেন। মুরগির মাংস খেয়ে নেবেন। বিজেপি গোঁজামিল পার্টি। শুধু মিথ্যা কথা বলে। বিজেপি থেকে সাবধান। ঠাকুরঘরে তৃণমূলের জোড়াফুল চিহ্নে পুজো দিয়ে বাড়ি থেকে বাইরে বের হন হলে জানান মমতা।

ফেব্রুয়ারি ০৯, ২০২১
রাজ্য

অভিষেকগড়ে শুভেন্দুর হানা, তৃণমূল বিধায়ক পদ্মশিবিরে

বারুইপুরের জনসভায় আনুষ্ঠানিকভাবে গেরুয়া পতাকা হাতে তুলে নিলেন ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদার। তাঁর সঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিলেন দক্ষিণ ২৪ পরগনার আরও প্রায় ১৬ জন তৃণমূল নেতা। আর তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই যোগদানের মাধ্যমে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারে তৃণমূলের সংগঠনে বড় ধস নামল, যা বিধানসভা ভোটের আগে নিঃসন্দেহে ধাক্কা তৃণমূল শিবিরের কাছে। সভায় চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানিয়েছেন শুভেন্দ। বেশ কয়েকদিন ধরেই ডায়মন্ডহারবারের বিধায়ক দীপক হালদারকে নিয়ে গুঞ্জন চলছিল। চলতি বছরের প্রথমে তিনি কলকাতার প্রাক্তন মেয়র তথা বর্তমান বিজেপির কলকাতা সংগঠনের পর্যবেক্ষক শোভন চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করার পর তা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়। যদিও মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একদা ঘনিষ্ঠ এই সৈনিক নিজের রাজনৈতিক শিবির বদল নিয়ে মুখে কার্যত কুলুপ এঁটেছিলেন। তা সত্ত্বেও তাঁর গতিপ্রকৃতি বুঝতে বিশেষ বেগ পেতে হয়নি রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞ মহলের। ১ ফেব্রুয়ারি তিনি আনুষ্ঠানিকভাবে তৃণমূল ছাড়ার কথা জানিয়ে দেন। স্পিডপোস্টে নিজের ইস্তফা পাঠান দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সির কাছে। আর পুরনো পরিচয় থেকে বেরিয়ে এসে ২ তারিখই নিজের রাজনৈতিক কেরিয়ারে পা রাখলেন দীপক হালদার।মঙ্গলবার বারুইপুরে বিজেপির যোগদান মেলায় মুকুল রায়, শুভেন্দু অধিকারী, রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়দের উপস্থিতিতে বিজেপির পতাকা হাতে তুলে নিলেন দীপক হালদার।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
রাজ্য

"উত্তরবঙ্গে গোহারা হেরেছি, প্লিজ এবার পুষিয়ে দেবেন তো!", আবেগপ্রবণ তৃণমূল সুপ্রিমো

উত্তরবঙ্গ উদ্ধার করতে মরিয়া তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গত লোকসভা নির্বাচনে উত্তরবঙ্গের আটটি আসনের মধ্যে সাতটি আসনেই পদ্ম পতাকা উড়েছিল। তাই এবারের নির্বাচনী প্রচারে আবেগপ্রবণ হয়ে পুষিয়ে দেওয়া ডাক দিলেন তৃণমূলনেত্রী। যদিও বিজেপির বক্তব্য, লোকসভায় উত্তরবঙ্গ তৃণমূলকে খালি হাতে ফিরিয়েছে এবার একই সঙ্গে দক্ষিণবঙ্গ তৃণমূলকে খালি হাতে ফেরাবে।২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের পরাজয় নিয়েও আপশোষ নেই বলেও জানিয়ে দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার তৃণমূল নেত্রী বলেন, উত্তরবঙ্গে আমরা গোহারা হেরেছি। তাতে আমার কোনও লজ্জা নেই। তবে এবার আপনারা পুষিয়ে দেবেন। প্লিজ পুষিয়ে দেবেন তো! এভাবেই মমতা আবেদন জানান উত্তরবঙ্গের মানুষের কাছে। একই সঙ্গে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্য, উত্তরবঙ্গে আগে কেউ আসত না। সকলে উত্তরবঙ্গকে অবহেলা করত। আমি কিন্তু প্রতি মাসে উত্তরবঙ্গে আসি। এবারের বিধানসভা নির্বাচনও যে অত্যন্ত কঠিন লড়াই তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে স্পষ্ট।এর আগে উত্তরবঙ্গের বিভিন্ন জায়গায় জনসভা করে গিয়েছেন তৃণমূল যুবর সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার এলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। উদ্দেশ্য একটাই হৃত জমি পুনরুদ্ধার করা। এদিকে বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য, উত্তরবঙ্গ শুধু নয় দক্ষিণবঙ্গে এবার তৃণমূল কংগ্রেস বিজেপিরর কাছে পরাজিত হবে।

ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
কলকাতা

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ দবি মমতার

প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর পদত্যাগ দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মমতা বলেন, কৃষকদের দাবি মেনে নিক। তা নাহলে গদি ছাড়ুক। বিজেপি ভাষা বিভেদ করছে বলেও দাবি করেছেন তৃণমূলনেত্রী।তৃণমূল কোনও ভাষাবিভেদ করে না বলে দাবি করেছেন মমতা। তিনি বলেন, আমরা ভাষা নিয়ে বৈষম্য করি না। ভাষা নিয়ে কোনও বিভাজন করি না। পাঞ্জাবের কৃষকরা লড়াই করছে তাঁদের পাশে আছি বলেও তিনি জানান। তাছাড়াও তিনি রাজস্থান, জাঠ, হরিয়ানার কৃষকদের আন্দোলনের সঙ্গে আছেন তাও জানিয়ে দেন। মমতার বক্তব্য, বাংলায় হিন্দু-মুসলিম নিয়ে রাজনীতি করলে কোনও ফায়দা হবে না বলে বাঙালি-অবাঙালি বিভাজন করছে বিজেপি।কীভাবে তৃণমূল কংগ্রেস হিন্দি ভাষীদের পাশে আছে সেকথাও জানিয়েছেন তৃণমূলনেত্রী। মমতা বলেন, তৃণমূল সরকার পশ্চিমবঙ্গে হিন্দিকে প্রথম সরকারি ভাষার মর্যাদা দেয়। তৃণমূল সরকার ছট পুজোর জন্য দুই দিনের ছুটি ঘোষণা করেছে। এবং হোলির জন্যও ছুটি ঘোষণা করেছে। আমরা হিন্দি বিশ্ববিদ্যালয় এবং হিন্দি কলেজ তৈরি করেছি, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দিচ্ছি এবং তাঁদের জীবনে প্রতিষ্ঠা করতে সহায়তা করছি। আমরা ভবিষ্যতে আরও কিছু করব।তৃণমূল ভবনে হিন্দিভাষীদের ওই অনুষ্ঠানে মমতা বলেন, আমার বিহারী, পাঞ্জাবী, রাজস্থানী, উত্তর প্রদেশের ভাই বোনেরা, বলুন তো আপনাদের এই বাংলায়, তৃণমূল কংগ্রেসের সরকারের আমলে কোনও সমস্যায় পড়তে হয়েছে? আমি কিন্তু হিন্দি পড়তে পারি।আমরা হিন্দি, কুরমি, উর্দু ভাষাকে মান্যতা দিয়েছি বাঙালিদের যদি বাংলা ভাষা শেখার অধিকার থাকে তাহলে অন্যান্য ভাষারও একই অধিকার আছে।

জানুয়ারি ২৮, ২০২১
রাজনীতি

বিজেপি ও সিপিএমের সভায় লোক পাঠাবেন তৃণমূলনেত্রী

তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠছে। স্বয়ং তৃণমূল নেত্রী এই অভিযোগ করে আসছেন। বনগাঁর সভাতেও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে পোস্টার নিয়ে একদল মানুষ তৃণমূল নেত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা করে। সোমবার নন্দীগ্রামের সভাতেও যাওয়ার পথে চাকরির দাবিতে বিক্ষোভ দেখানো হয়। মঙ্গলবার পুরুলিয়ার জনসভায় বেতন বৃদ্ধির দাবি করতে থাকেন একদল মানুষ। এতেই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।বারেবারে তাঁর সভায় পরিকল্পনা করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করা হচ্ছে বলে অভিযোগ তোলেন তৃণমূল নেত্রী। মমতা বলেন, প্রতি জায়গায় গিয়ে এরকম বদমায়েশি করে দুএকজন। কেউ পাঠিয়ে দেয়। আপনার বক্তব্য থাকলে কাগজে লিখে দেবেন। মিটিংয়ের মধ্যে ডিস্টার্ব করবেন না। এক লক্ষ লোকের মধ্যে ১০ জন। বসুন। এখানে বললে একটি কাজও করব না। আমাকে চিঠি লিখে দিতে হবে। সভা নষ্ট করার অধিকার আপনাকে কে দিয়েছে?মমতার অভিযোগ, বিজেপি লোক পাঠিয়ে জনসভা ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে। প্রয়োজনে অ্যাকশন নেওয়া হবে তিনি জানিয়ে দেন। তৃণমূল নেত্রী বলেন, প্রতিদিন আমার মিটিংয়ে বিজেপি শিখিয়ে দিচ্ছেন আর করছেন। এসব আমি বুঝি। আমি এবার থেকে বিজেপির মিটিংয়ে লোক পাঠিয়ে দেব। সিপিএমের মিটিংয়েও লোক পাঠিয়ে দেব। চালাকি বুঝিয়ে দেব।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের জনসভায় পোস্টার, ব্যানার নিয়ে গিয়ে দাবি-দাওয়া জানাতে হাজির হয়ে যাচ্ছেন একদল। সহজেই মুখ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা যাচ্ছে। মমতা বলেন, যদি কারও কোনও দাবি-দাওয়া থাকে তাহলে সেটা চিঠি দিয়ে জানাতে পারেন। কিন্তু এটা কোন পদ্ধতি নয়। এরকম করলে আমি কিছু করব না। যদিও পরে মমতা বলেন, আমি একটু বকাঝকা করেছি কিছু মনে করবেন না। আপনাদের দাবিপত্র নেওয়ার ব্যবস্থা করছি।

জানুয়ারি ১৯, ২০২১
রাজনীতি

২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে সেরা বাজি মমতার, তৃণমূলনেত্রীই নন্দীগ্রামে প্রার্থী

২০২১ বিধানসভা নির্বাচন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাছে যে মরণ-বাঁচন লড়াই তা নন্দীগ্রামের জনসভায় তাঁর বক্তব্যে স্পষ্ট। এই বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে দলের প্রার্থী হতে চেয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সোমবার জনসভায় বক্তব্য রাখতে গিয়ে মমতা বলেন, নন্দীগ্রামে আমি প্রার্থী হলে কেমন হয়। দলকে আমি বলব এই নন্দীগ্রামে আমার নাম রাখতে। আবেগে ভেসে তিনি এই কথা বলেন বলেও জানিয়ে দেন। শেনা মাত্রই মঞ্চে উপস্থিত তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সী জানিয়ে দেন ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনে নন্দীগ্রামে তৃণমূলের প্রার্থী করা হচ্ছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দেন, আমাকে ২৯৪ কেন্দ্রে ঘুরতে হবে। আপনারা এই কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকবেন। এছাড়াও নন্দীগ্রামে একগুচ্ছ উন্নয়ন কর্মসূচি ঘোষণা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শহিদ ও নিখোঁজ পরিবারের হাতে মাসে ১ হাজার টাকা পেনশন দেওয়া হবে বলেও জানিয়ে দেন।

জানুয়ারি ১৮, ২০২১
রাজনীতি

অমিত শাহ, কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত, আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা, দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, তোপ অভিষেকের

নতুন বছরের শুরু থেকেই রাজ্যে বাড়ছে রাজনৈতিক উত্তাপ। সভা-সমাবেশে বক্তব্যে ঝড় বইছে। বক্তব্য-পাল্টা বক্তব্য চলছে। এদিন দক্ষিণ দিনাজপুরে এক জনসভায় বিজেপিকে একহাত নিলেন তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ সরাসরি আক্রমণ করেছেন বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বকে।অভিষেক এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, বহিরাগতদের নিয়ে এসে বাংলার ঐতিহ্য, কৃষ্টি নষ্ট করতে চাইছে। ভোট নেওয়ার সময় বিজেপি আসে। পরিষেবা দেয় তৃণমূল। চোর, ছেঁচড়, চিটিংবাজরা সবাই বিজেপিতে গিয়েছে। বাংলায় নির্বাচন হবে, পরিযায়ী নেতারা এখানে এসে জুড়ে বসবেন। এখানকার সাংসদ সুকান্ত মুজমদার বলেছেন, আমি বহিরাগত। বাংলায় জন্ম, বাংলায় কথা বলি, ব্রাহ্মন সন্তান আমি বহিরাগত? ইন্দোরের কৈলাস বিজয়বর্গীয় বাংলা বলতে পারে না, বাংলা লিখতে পারে না, বাংলা পড়তে পারে না, তিনি দিনাজপুরের বা বাংলার ভূমিপুত্র? চাটুকারিতা আর তল্পিবাহক হয়ে গিয়ে বাংলাকে গুজরাট ও দিল্লির হাতে বন্ধক রাখতে চলেছে।বিজেপি নেতৃত্বের একাংশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে আক্রমণের সময় নাম না করে ভাইপো সম্বোধন করছেন। তোলাবাজ ভাইপো বলছেন সদ্য বিজেপি যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীও{ অভিষেক বলেন, কথায় কথায় আমাকে আক্রমণ করছে। বলছে তোলাবাজ ভাইপো হঠাও। আমার তোলাবাজি কেউ যদি প্রমান করতে পারে, কোনওরকম তোলাবাজির সঙ্গে আমি বিন্দুমাত্র জড়িত তাহলে আমার পিছনে ইডি, সিবিআই করতে হবে না একটা ফাঁসির মঞ্চ করবেন। আমি গিয়ে মৃত্যুবরণ করে নেব।নাম নিয়ে কথা বলার বুকের পাটা নেই। বলে ভাইপো। ভাইপো বললে মামলা করা যায় না।অভিষেক বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্য চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, নাম নিয়ে কথা বলতে পারে না। আমি নাম করে বলছি কৈলাস বিজয়বর্গীয় বহিরাগত, আমি নাম করে বলছি কৈলাস বিজয়বর্গীয়র ছেলে আকাশ বিজয়বর্গীয় গুন্ডা, আমি নাম করে বলছি দিলীপ ঘোষ গুন্ডা, অমিত শাহ বহিরাগত, বিজেপির দিল্লির নেতারা বহিরাগত। তোমার ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করে দেখাও। জেলে ঢোকাও।শুভেন্দু সমাবেশে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলছেন বাংলাটাকে নরেন্দ্র মোদীর হাতে তুলে দিতে হবে। বিজেপি এলে এসএসসি হবে, টেট হবে, চাকরি হবে যুবকদের। অভিষেক বলেন, বাংলা কী একটা বস্তু। তাহলে চুরি করতে সুবিধা হবে। অভিষেক নাম না করে এদিন তোলাবাজ নিয়ে প্রশ্ন করেন হাজির জনতাকে। তিনি প্রশ্ন করেন, আপনারা টিভির পর্দায় কাকে টাকা নিতে দেখেছেন? একটু জোরে? জবাব আসে, শুভেন্দু অধিকারীকে। একাধিকবার একই প্রশ্ন জিজ্ঞেস করতে থাতেন। কিন্তু নিজে নাম নেননি মুখে। এদিকে শুভেন্দু অধিকারী পাল্টা তোপ দেগেছেন বিনয় মিশ্রকে নিয়ে। শুভেন্দুর বক্তব্য, তৃণমূল যুবার সহসভাপতি ছিলেন, তারপর ছিলেন সাধারণ সম্পাদক। টুইট করেছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্য়ায়। শুভেন্দুর প্রশ্ন, বিনয় মিশ্রের সঙ্গে তাঁর কী সম্পর্ক?

জানুয়ারি ০৭, ২০২১
রাজনীতি

মন্ত্রী, বিধায়ক বা প্রক্তন মেয়র নয়, ক্ষোভ উগরে দিতে সাংবাদিক বৈঠক হাওড়ার পঞ্চায়েত প্রধানের

এবারে বিস্ফোরক তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান। নাম করে সরাসরি আক্রমণ অরূপ রায়কে। দলের ওই ভাঙনের জন্যে দায়ী করলেন মন্ত্রী অরূপ রায়কে। একের পর এক তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে আসছে। মঙ্গলবার দলের সভাপতি ও মন্ত্রীত্ব ছেড়েছেন হাওড়ার মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা। এদিকে বুধবার সকালে হাওড়ার মহানাগরিক বিশিষ্ট চিকিৎসক ডঃ রথীন চক্রবর্তীর পরে নাম করে জেলা সদরের চেয়ারম্যান অরূপ রায়কে সরাসরি দলের ভাঙনের জন্য দায়ী করলেন তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত প্রধান। বুধরার নিজের অফিসে বসেই এক সাংবাদিক সম্মেলনে দলের কান্ডারীর বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিলেন জগদিশপুরের পঞ্চায়েত প্রধান গোবিন্দ হাজরা। হাওড়ায় দলের ভাঙ্গন আরো বড় হবে। এরজন্যে সরাসরি জেলা সদরের তৃণমূল চেয়ারম্যানকে দোষারোপ করেন তিনি। আগামিদিনে হাওড়ার মানুষ স্বাস্থ্যসাথী পরিষেবা থেকেও বঞ্চিত হতে পারে, এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করেন গোবিন্দ হাজরা। আধিকারিকরা ঠিকভাবে কাজ করছে না। সকালে জানানো হচ্ছে আগামীকাল স্বাস্থ্য সাথি কার্ডের জন্যে ছবি তোলা হবে। লিস্ট ধরে সারাদিন ধরে ফোন করে ২হাজার মানুষকে সেই কথা জানানোর পরে রাত ৮টার সময়ে বিডিও অফিস থেকে আবার জানানো হচ্ছে কিট না আসায় আগামীকাল ছবি তোলা যাবে না। মানুষ ভোর চারটে থেকে লাইন দিয়ে তারপরে এই কথা জানতে পারছেন। এত বিজ্ঞাপন দিয়ে স্বাস্থ্য সাথীর কথা প্রচার করে মানুষকে পরিষেবা দিতে না পারলে ভোটের বাক্সে তার প্রতিফলন পড়বে বলেও মনে করেন তিনি। আগামী দিনে দলে আরো বড় ভাঙন আসতে পারে বলেও অভিমত ব্যাক্ত করেন তিনি। ক্ষমতায় আসার পরে সরকার ভালো কাজ করলেও বর্তমানে সরকারি কাজ ভালো হচ্ছে না বলেও অভিযোগ করেন তিনি। দলের এক বিধায়ক কল্যান বন্দোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করে গোবিন্দ হাজরা বলেন, ওনাকে আমি ঘৃনা করি। পাশাপাশি তিনি জানান, দিদি আমাকে কোর কমিটির সদস্য করেন। কালেঘাটে দিদির মিটিং এ ডাক পেলেও হাওড়ায় অরূপ রায়ের মিটিং এ ডাক পেতেন না বলে অভিযোগ। তৃণমূলের জেলা কমিটির বর্তমান সদস্যদের চোর গুন্ডা বলে অবিহিত করেন। ভালো লোকদের নিয়ে কমিটি করলে দলের এমন হাল হতো না। চোর গুন্ডাদের নিয়ে কমিটি নিয়েছেন অরূপ রায়। হাওড়ায় ভরাডুবি অনিবার্য। নতুন সভাপতি প্রসঙ্গে তাঁর মন্তব্য, ভরাডুবির দায় থেকে নিজের বাঁচার তাগিদে অন্যের কাঁধে বন্দুক রাখা। যদিও আগামীদিনে দল বদল করবেন কি না তা স্পষ্ট করেন নি গোবিন্দ হাজরা। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেবেন বলে জানান তিনি। এদিন সকালে সাংবাদিকদের সামনে তৃণমূলের বিরুদ্ধে মূখ খোলেন হাওড়ার প্রাক্তন তৃণমূল মেয়র ডঃ রথীন চক্রবর্তী। তৃণমূল দল থেকে বিদায় নিয়েছে সৌজন্যবোধ এই ভাষায় নিজের ক্ষোভ ব্যাক্ত করেন তিনি। তিনি আরো জানান, হাওড়ার মানুষের জন্যে যে জল প্রকল্পের কাজ শুরু করেছিলেন তিনি, সেই প্রকল্পের উদ্বোধনে আমন্ত্রণ না পাওয়ায় এই ভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। পাশাপাশি তৃণমূল দলকে প্রাইভেট কোম্পানির সাথে তুলনা করে বলেন এখানে শুধুমাত্র নেতার ঘনিষ্ঠ কারো কথা শুনে চলাই রীতি। অন্য কিছুই দেখা বা শোনা হয়না। চোখ কান ইত্যাদি ইন্দ্রিয় গুলো ঢাকা পড়ে রয়েছে এমন মন্তব্য করেন প্রাক্তন মহানাগরিক। এখানে যারা কাজ করে তাদের এক ঘরে করে দেওয়ার আপ্রাণ চেষ্টা করা হয়। যারা কাজ করে তারা ব্যাকসিটে চলে যায়। আগামী দিনে যেখানে থেকে মানুষের সেবা করা যাবে, মানুষের কাজ করা যাবে, সেখানেই সে তার পাশেই তিনি থাকবেন বলেও জানান তিনি। হাওড়া জেলা সদর সভাপতির পদ থেকে ও মন্ত্রীত্ব ছেড়ে দেওয়ার কথা প্রাক্তন ক্রিকেটার লক্ষীরতন শুক্লা জানানোর পরেই একে একে দলীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মূখ খুলছেন অনেকেই। এদিকে নবনিযুক্ত তৃণমূল সভাপতি ভাস্কর ভট্টাচার্য সকলকে নিয়ে চলতে চাইছেন। মান-অভিমান ভুলে আলোচনা করলেই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে বলে তিনি মনে করেন।

জানুয়ারি ০৭, ২০২১
রাজ্য

অনুব্রত মন্ডলের মাথায় রুপোর মুকুট, কটাক্ষ দিলীপের

কেউ বলছেন ঝেঁটিয়ে সাফ করে দিন। কেউ বলছেন থেকে ঠেঙিয়ে পগার পার করে দিন। ২০২১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে জানুয়ারির প্রথমেই তাপ উত্তাপ চরমে উঠেছে। এসবের মাঝেই বীরভূমের দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল কংগ্রেস নেতা অনুব্রত মণ্ডল মাথায় রুপোর মুকুট পড়ে নতুন করে বিতর্ক সৃষ্টি করেছেন।কোথায় পেলেন এই মুকুট? অনুব্রত গিয়েছিলেন নানুরের একটি মেলাতে। সেই মিলন মেলায় উদ্যোক্তারা তাঁকে একটি দু কেজি ওজনের রুপোর মুকুট উপহার দেন। তিনি সেই রুপোর মুকুট পরে মঞ্চে বসেছিলেন। সেই দৃশ্য দেখতে মঞ্চের সামনে হাজির জনতা হা করে তাঁর দিকে তাকিয়ে ছিলেন। অদ্ভুত সেই দৃশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে।মুকুট পরে হালকা মেজাজে থাকলেও বিজেপির বিরুদ্ধে হুঙ্কার দিতে ছাড়েননি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি। তাঁর হুঁশিয়ারি, ঠেঙিয়ে বিজেপিকে পগার পার করে দিন। এডাল থেকে ওডাল উঠলেই হবে নাকি। বড় হনু নাকি? মন্তব্য অনুব্রতর।এদিকে তাঁর মাথায় রুপোর মুকুট দেখে রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ এর মুখ বন্ধ করে রাখতে পারেননি। তিনি কটাক্ষ করতে ছাড়েননি অনুব্রত মন্ডলকে। দিলিপের বক্তব্য, রাজ্য, রাজ্যপাট চলে যাবে। আর মুকুট পরার সময় পাবে না। তাই আগেভাগেই মুকুট পড়ে নিয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। অনুব্রত রুপোর মুকুট নিয়ে রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে।

জানুয়ারি ০২, ২০২১
রাজনীতি

নন্দীগ্রামে মমতাকে চ্যালেঞ্জ শুভেন্দুর

কর্মসূচি ঘোষণা করে পগার পার! বলছে পরে কর্মসূচি করব। আমরাও তার পরে করব। ৮ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অন্তত ১ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। ভোটের পর আমিও দেখিও দেব নন্দীগ্রামের মানুষ আমার সঙ্গে আছেন কিনা। আজ বজরঙ্গবলীর মন্দির চত্ত্বরে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের দিকে এই চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়ে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, আমার ছবিতে কালি লেপছে, ছবি ছিঁড়ছে। আমি এখানকার কাউকে দোষ দিই না। তোলাবাজ ভাইপোর অফিস থেকে এ সব করে ছবি পাঠাতে বলছে। আমি সনাতন ধর্মে বিশ্বাসী। মানুষের সেবার কথা সব সময় বলি। আমি যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়েছি তা আজ ফের এখানে এসে বুঝলাম। তিনি বলেন, এটা ধর্মীয় অনুষ্ঠান। সেখানে আসার সময় ভুতা মোড়ে যে হামলা হয়েছে হামলাকারীদের গ্রেফতার করতে হবে। আমাদের দুর্বল ভাবার কারণ নেই। খড়দহে দলীয় কর্মসূচি সেরে আমি নন্দীগ্রাম ফিরব। যাঁরা আহত হয়েছেন তাঁদের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। সেখানে আমার মন পড়ে আছে। বিজেপিতে যোগদানের পর এদিন প্রথম নন্দীগ্রামে গেলেন শুভেন্দুবাবু। অরাজনৈতিক ধর্মীয় রোড শো ঘিরে নন্দীগ্রামে ফের জনসমুদ্র বুঝিয়ে দিল, মানুষ রয়েছেন জননেতার সঙ্গেই।

ডিসেম্বর ২৯, ২০২০
কলকাতা

তাজপুর থেকে সিঙ্গুর: নতুন কর্মপথ, নতুন দিশা

বড়দিনের আগেই রাজ্যে নতুন বিনিয়োগ ও বিপুল কর্মসংস্থানের সম্ভাবনার কথা জানালেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার ২৪ ডিসেম্বর ২০২০ তিনি বলেন, তাজপুরে গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি করছে রাজ্য সরকার। আন্তর্জাতিক টেন্ডার ডাকা হচ্ছে। ৪,২০০ কোটি টাকার প্রকল্প। আমরা কোথাও জোর করে কোনও জমি অধিগ্রহণ করি না। এই বন্দর তৈরি হলে ১৫ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ হবে। ২৫ হাজার কর্মসংস্থান হবে। ব্যবসা-বাণিজ্যের বিপুল প্রসার ঘটবে। দেশে লৌহ-ইস্পাত রফতানির ১৩ শতাংশ হয় এই রাজ্যে। বন্দর হলে তা বৃদ্ধি পাবে। খড়গপুর ও সংলগ্ন এলাকায় ইস্পাত শিল্পের রফতানি বৃদ্ধি পাবে। দুই মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, বর্ধমানে নতুন কর্মপথ, নতুন দিশা তৈরি হবে। দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া-সহ বিভিন্ন দেশে সি-ফুড রফতানি বাড়বে। মৎস্যজীবীরা উপকৃত হবেন, বহু মানুষ কাজ পাবেন। এটা একটা যুগান্তকারী পদক্ষেপ। সিঙ্গুরে ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক তৈরির ঘোষণা করে মুখ্যমন্ত্রী জানান, কৃষি আর শিল্প একসঙ্গে, এটা আমি হাসি আর খুশি বলে থাকি। অ্যাগ্রো ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্ক গড়ে উঠবে এখানে। রেল স্টেশন ও ট্রমা কেয়ার সেন্টারের কাছে ১১ একর জমিতে শিল্প পার্ক গড়ে উঠবে। উৎপাদিত ফসল বিক্রি, প্রদর্শনী, ডিসপ্লে আইটেম তৈরি ইত্যাদি ব্যবস্থা থাকবে। ১০ থেকে ৩০ কাঠা জমি প্লট করে শিল্পপতিদের দেওয়া হবে। পানাগড় ইন্ডাস্ট্রিয়াল পার্কে ৪০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে ধানুকা ধানসেরি গোষ্ঠী। সিলিকন ভ্যালিতেও জমি পাওয়ার আবেদন প্রক্রিয়া মসৃণ করছে হিডকো, আইটি ক্ষেত্রে জোর দিচ্ছি। উইপ্রো, ইনফোসিস লগ্নি করার কথা জানিয়েছে।

ডিসেম্বর ২৪, ২০২০
রাজ্য

অমিত শাহর পাল্টা র‍্যালিতে ২ লক্ষ জমায়েতের চ্যালেঞ্জ

র্যালির পাল্টা র্যালি। অমিত শাহ বনাম মমতা। একদিকে যেমন দলবদলের খেলা জমে উঠেছে তেমনই চলছে একে অপরকে চ্যালেঞ্জ, পাল্টা চ্যালেঞ্জ। জনসভা পাল্টা জনসভা। ২০১১ বিধানসভা নির্বাচনের আগে এই কৌশল নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। এবার ফের সেই পথেই হাটছে। সদ্য বিজেপিতে যোগ দেওয়া শুভেন্দু অধিকারীও কাঁথিতে মিছিল করবেন তৃণমূলের জনসভার পরের দিন, ২৪ ডিসেম্বর। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ রবিবারের র্যালি নিয়ে যারপরনাই খুশি। সেই আনন্দে তিনি বলেই ফেলেছেন, বাংলায় এবারের বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় কেউ আটকাতে পারবে না। সেই ঘোষনাকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বোলপুরেই অমিত শাহর র্যালির ১০ দিনের মাথায় রোড শো করবেন মমতা। না তাড়াহুড়ো নয়, একেবারে সময় নিয়েই কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন। ২৯ ডিসেম্বর বোলপুরে রোড শো করবেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মন্ডলের দাবি, ওই দিন ২ লক্ষ মানুষের জমায়েত হবে। এর আগে তিনি অভিযোগ করেছেন বিজেপি বাইরে থেকে লোক নিয়ে এসেছে। যদিও বিজেপি পাল্টা জানিয়ে দিয়েছে শুধু বিজেপি কর্মী-সমর্থকরা নয়, তাদের রোড শোতে বিক্ষুব্ধ তৃণমূলীরাও ছিলেন।

ডিসেম্বর ২১, ২০২০
  • ‹
  • 1
  • 2
  • 3
  • 4
  • 5
  • 6
  • 7
  • 8
  • 9
  • ›

ট্রেন্ডিং

খেলার দুনিয়া

খেলার ফাঁকে দিদার হাতের খিচুড়ি-পাঁপড়! বেহালা ফ্রেন্ডসের অনুষ্ঠানে সৌরভের অজানা অধ্যায়

খিচুড়ি-পাঁপড় থেকে ফাইভ স্টারের খাবার। বাংলার ক্রিকেটের উত্তরণকে এভাবেই তুলে ধরলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। এক অজানা গল্পের মধ্যে দিয়ে। আলিপুরের ধনধান্য অডিটোরিয়ামে, বেহালা ফ্রেন্ডসের ৮৫ বছর পূর্তি উদযাপন অনুষ্ঠানে।সৌরভ বলেন, কলকাতায় রিকশ দেখা যায় ব্রহ্ম সমাজ রোডে। আমার দাদুর ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল বেহালা ফ্রেন্ডসের কর্তাদের সঙ্গে। ছোটবেলায় গরমের ছুটিতে মামার বাড়ি যেতাম। দেখতাম আমার দিদা নিজের হাতে বড়িশা স্পোর্টিং আর বেহালা ফ্রেন্ডসের ক্রিকেটারদের জন্য রান্না করে পাঠাতেন। আমি যখন বড়িশায় খেলি তখনও দিদা রিকশ করে ডেচকিতে খিচুড়ি, পাঁপড় পাঠাতেন। আর এখন দেখি ইডেনে সিক্স বালিগঞ্জ প্লেস, বিজলি গ্রিলের খাবার ক্রিকেটারদের জন্য।বেহালা ফ্রেন্ডসের শীর্ষকর্তা তথা সিএবির অবজারভার কমিটির চেয়ারম্যান শ্রীমন্ত কুমার মল্লিকের প্রশংসা করে সৌরভ বলেন, বেহালা মানেই ফ্রেন্ডস! শ্রীমন্তদা আমার পাড়ার মানুষ, আমরা ভালো বন্ধু। ওঁর জন্যেই আজ এই ক্লাব এই জায়গায় পৌঁছেছে। দ্বিতীয় ডিভিশন চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল খেলেছে। আরও এগিয়ে চলুক।সৌরভের জন্মদিন ছিল মঙ্গলবার। তবে বুধবারেও এই অনুষ্ঠানে সৌরভকে জন্মদিনের কেক কাটতে হলো। শ্রীমন্ত কুমার মল্লিক মহারাজকে কেক খাওয়ালেন, তাঁকে জড়িয়ে ধরলেন সৌরভ। এদিন ক্রিকেটারদের সংবর্ধিত করল বেহালা ফ্রেন্ডস। ছিল মনোময় ভট্টাচার্যের মনোজ্ঞ সংগীতানুষ্ঠান। উপস্থিত ছিলেন সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়, বিধায়ক দেবাশিস কুমার, সিএবির ট্যুর ও ফিক্সচার ও টেকনিক্যাল কমিটির চেয়ারম্যান সঞ্জয় দাস, আম্পায়ার কমিটির চেয়ারম্যান প্রসেনজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ সিএবির প্রাক্তন ও বর্তমান একাধিক পদাধিকারী।

জুলাই ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

লড়াই লর্ডসে, বুমরাহ ফিরছেন ভারতের একাদশে, ইংল্যান্ডের বাজি আর্চার

পাঁচ টেস্টের সিরিজ এখন ১-১। বৃহস্পতিবার থেকে তৃতীয় টেস্ট লর্ডসে। উইকেটে এখনও ঘাস আছে। ফলে প্রথমদিকে পেসাররা ফায়দা আদায় করে নিতে পারবেন। ভারতীয় একাদশে ফিরছেন জসপ্রীত বুমরাহ। ফলে প্রসিদ্ধ কৃষ্ণকে বসতে হবে। ভারতের প্রাক্তন অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় ইতিমধ্যেই কুলদীপ যাদবকে খেলানোর পক্ষে সওয়াল করেছেন। তাঁর কথায়, পেস সহায়ক উইকেট হলে নিশ্চিতভাবেই পেসার কমানো হবে না। কিন্তু তা না হলে ওয়াশিংটন সুন্দর বা নীতীশ কুমার রেড্ডির জায়গায় কুলদীপকে খেলানো উচিত। যেভাবে বোলাররা এজবাস্টন টেস্টে ২০ উইকেট নিয়েছেন, তাতে ভারতীয় দলের মনোবল তুঙ্গে থাকবে। ইংল্যান্ডে টেস্ট জিততে চারশো রান করতে হবে বলেও জানান মহারাজ।ইংল্যান্ড দলে একটিই পরিবর্তন। জোফ্রা আর্চারকে আনা হলো। দুটি টেস্টে ১১টি শিকার ঝুলিতে পুরে সর্বাধিক উইকেটশিকারী জশ টংকে ওয়ার্কলোড ম্যানেজমেন্টের কারণে বসানো হলো। ইংরেজ অধিনায়ক বেন স্টোকস টস জিতলে ফের রান তাড়ার চ্যালেঞ্জ নেন কিনা সেদিকে নজর থাকবে। বৃহস্পতিবার বৃষ্টির পূর্বাভাস নেই।লর্ডসে ভারত ইংল্যান্ডের বিপক্ষে শেষ ১৯টি টেস্ট খেলে জিতেছে তিনটিতে, ইংল্যান্ডের জয় ১২টিতে। ভারত ২০১৪ ও ২০২১ সালে ইংল্যান্ডকে হারিয়েছে ক্রিকেটের মক্কায়। ২০২১ সালের টেস্টটিতে লোকেশ রাহুল শতরান করেছিলেন, মহম্মদ সিরাজ নেন ৮ উইকেট।

জুলাই ০৯, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

কয়েক কোটি টাকা নয়ছয়! সিএবি যুগ্ম সচিব দেবব্রতর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড়, ওম্বুডসম্যানের দৃষ্টি আকর্ষণ

ফের বিতর্কে সিএবির যুগ্ম সচিব দেবব্রত দাস। যাঁর কথায় মারাত্মকভাবে আহত হয়ে বাংলা ছেড়ে ত্রিপুরায় চলে গিয়েছিলেন ঋদ্ধিমান সাহা। ম্যাচ গড়াপেটা-সহ নানা কেলেঙ্কারিতে অভিযুক্ত হন সিএবির এই যুগ্ম সচিব। এবার তাঁর বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারির গুরুতর অভিযোগ তুলে সিএবিকে চিঠি পাঠাল আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। এমনকী সিএবির ওম্বুডসম্যানের কাছেও জমা পড়ল অভিযোগ, আর্জি জানানো হলো তদন্ত শুরুর। সবমিলিয়ে কয়েক কোটি টাকার আর্থিক কেলেঙ্কারি বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।গত এপ্রিল মাসে সিএবিতে চিঠিটি পাঠিয়েছে আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। যার প্রতিলিপি আমাদের হাতে এসেছে। কী অভিযোগ? দেখে নেওয়া যাক। আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস ম্যানেজমেন্টের তরফে চিঠিতে স্বাক্ষর রয়েছে সচিন ধন্দগের (Sachin Dhondge)। অভিযোগ, এই সংস্থার থেকে চার লক্ষ টাকা নিয়েছেন দেবব্রত। বিনিময়ে তিনি আশ্বাস দেন, আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস সিএবি স্বীকৃত ক্লাবের মর্যাদা পাবে। সংস্থাটি ভেবেছিল এর ফলে শিক্ষার্থীরা সিএবি অনুমোদিত বিভিন্ন টুর্নামেন্ট খেলার সুযোগ পাবেন এবং মিলবে যথাযথ স্বীকৃতি।যদিও দুই বছর পেরিয়ে গেলেও দেবব্রত দাস প্রতিশ্রুতি রক্ষা করেননি বলে চাঞ্চল্যকর অভিযোগ এনেছে আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস। এমনকী এই সময়কালে সংস্থার তরফে দেবব্রত দাসকে ফোন করা হলে তিনি ফোন ধরেননি, মেসেজের উত্তর দেননি। ফলে বিশ্বাসভঙ্গের পাশাপাশি দেবব্রত দাস নিজের পদের অপব্যবহার করেছেন বলে চিঠিতে উল্লেখ। সিএবির মতো প্রতিষ্ঠানকে এমন কেলেঙ্কারিতে যেভাবে জড়ানোর চেষ্টা হলো তাতে বিস্মিত আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টস।সিএবি সভাপতি স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়ের দৃষ্টি আকর্ষণ করে চিঠিতে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের আর্জি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দেবব্রত দাসের বিরুদ্ধে পূর্ণাঙ্গ তদন্ত চালানোর পাশাপাশি চার লক্ষ টাকা তাঁর কাছ থেকে আদায় করে ফেরত দেওয়ার আবেদন জানিয়েছে সংস্থাটি। এই ধরনের স্পর্শকাতর বিষয়ে যথাযথ শৃঙ্খলাজনিত পদক্ষেপ সিএবি করবে এবং ন্যায়বিচার সুনিশ্চিত করবে বলে আশা আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টসের। চিঠিটি পাঠানো হয়েছে এপ্রিল মাসে। তারপর মাস দুয়েক পেরিয়ে গেলেও বহাল তবিয়তে দেবব্রত দাস ঘুরছেন বলে জানতে পেরেছে সংস্থাটি। এমনকী বেঙ্গল প্রো টি২০ লিগের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানেও তাঁকে দেখা গিয়েছে। এর মধ্যেই গত ২ জুলাই সিএবির ওম্বুডসম্যানের কাছে জমা পড়ল চাঞ্চল্যকর একাধিক অভিযোগ। টাউন ক্লাবের সভাপতি বিশাখ ঘোষের তরফে পাঠানো চিঠিতে উল্লেখ, দল নির্বাচনী বৈঠকে তিনি উপস্থিত থাকেন এবং নির্বাচকদের প্রভাবিত করেন বলে দাবি করে দেবব্রত বেশ কয়েকজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে বিপুল অঙ্কের টাকা নিয়েছেন। বাংলার বিভিন্ন দলে সুযোগ করে দেওয়ার আশ্বাস দিয়ে এই টাকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ। সেই সংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের নথিও জমা পড়েছে ওম্বুডসম্যানের কাছে।নিজের পদের অপব্যবহার করে বিশেষ করে বছর দেড়েক ধরে দেবব্রত যে অনৈতিক কাজ চালাচ্ছেন, দুর্নীতি করছেন, শৃঙ্খলাভঙ্গ করছেন তা টাউন ক্লাব ও সিএবির গরিমায় আঘাত বলে উল্লেখ।টাউন ক্লাবের তরফে আরও অভিযোগ, সৌম্যদীপ মণ্ডল, গীত পুরীর মতো ক্রিকেটারদের দেবব্রত বাধ্য করেছেন টাউন ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য। তাঁদের আশ্বাস দেন টাউনের হয়ে খেললে বাংলা দলে সুযোগ মিলবে। তবে তাঁদের যে অর্থের বিনিময়ে টাউন ক্লাবের হয়ে খেলতে বলা হয়েছিল সেই অর্থ বকেয়া রাখা হয়েছে বলে অভিযোগ। আবার এমন অভিযোগও আছে যে, অনেকের কাছ থেকে দেবব্রত এই আশ্বাস দিয়ে টাকা নিয়েছেন যে তাঁদের সিএবি অনুমোদিত ক্লাবে খেলার বন্দোবস্ত করে দেবেন। প্রতারিত হয়ে, বিশ্বাসভঙ্গের শিকার হয়ে আর্থিক লেনদেনের কপি-সহ ক্রিকেটার ও অভিভাবকরা অভিযোগ জানিয়েছেন টাউন ক্লাবে।এমনকী টাউন ক্লাবের ক্রিকেটারদের খাবারের বিল তিনি সিএবির ক্যান্টিন বিলে যোগ করেছেন বলে অভিযোগ। সেই বিলগুলিতে দেবব্রত নিজেই স্বাক্ষর করেছেন। এ বিষয়ে ওম্বুডসম্যানের কাছে যথাযথ তদন্তের আবেদন জানানো হয়েছে। আদিত্য স্কুল অব স্পোর্টসের মতো মুর্শিদাবাদের মিলন, কালীঘাট ক্লাবের সমীরণ দাস, রিয়াল এস্টেটের মালিক অমিত গুপ্ত সিএবির যুগ্ম সচিবের বিরুদ্ধে আর্থিক কেলেঙ্কারি ও প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন সিএবি সভাপতির কাছে। বিষয়টি জানতে পেরেছে টাউন ক্লাবও।একাধারে সিএবির যুগ্ম সচিব, অন্যদিকে টাউন ক্লাবের কর্তা হিসেবে দেবব্রত দাস যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছেন তাতে তা স্বার্থের সংঘাত বলে দাবি করেছে টাউন ক্লাব। দেবব্রতকে শোকজ করা ও তাঁর বিরুদ্ধে উপযুক্ত তদন্ত শুরু করে যথোপযুক্ত পদক্ষেপের অনুরোধ জানানো হয়েছে টাউন ক্লাবের কাছে। এই অভিযোগ নিয়ে দেবব্রতর প্রতিক্রিয়া মেলেনি। সিএবিতে বার্ষিক সাধারণ সভা তথা নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। এই আবহে এমন গুরুতর অভিযোগে শোরগোল বঙ্গ ক্রিকেটের নিয়ামক সংস্থায়।

জুলাই ০৮, ২০২৫
দেশ

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ট্রেনের ধাক্কা স্কুল বাসকে, মৃত দুই, জখম বহু

ট্রেনের ধাক্কা স্কুল বাসে। ট্রেন ও বাসের সংঘর্ষে ২ জন শিক্ষীর্থীর মৃত্য়ু হয়েছে। বেশ কয়েকজন জখম হয়েছেন। মঙ্গলবার সকালে তামিলনাড়ুর কুড্ডালোর জেলায় রেলক্রসিংয়ে একটি স্কুল ভ্যান ও ট্রেনের ধাক্কায় দুই শিক্ষার্থীর মত্যু হয় এবং চারজন আহত হয়েছে। সংবাদ সংস্থা সূত্রে খবর, তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে ট্রেনটি রেলগেট বন্ধ না করেই যাচ্ছিল। সেই কারণেই সম্ভবত স্কুল বাসটি রেল লাইনে চলে আসে।সংবাদ সংস্থা সূত্রের খবর, সকাল ৭.৪৫ মিনিটে ভ্যানটি কুমারপুরমের কৃষ্ণস্বামী বিদ্যানিকেতন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে শিশুদের নিয়ে যাওয়ার সময় এই দুর্ঘটনা ঘটে। কুড্ডালোরের পুলিশ সুপারিনটেনডেন্ট এস জয়াকুমার জানিয়েছেন, ভিল্লুপুরম-মায়িলাদুথুরাই যাত্রীবাহী ট্রেনটি গাড়িটিকে ধাক্কা দেয়।দুর্ঘটনায় ১৬ বছর বয়সী এক ছাত্রী এবং ১২ বছর বয়সী এক ছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। আহতদের মধ্যে ভ্যানের চালক, দুই শিশু, আরেকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। একজন স্থানীয় বাসিন্দাও আহত হয়েছেন। জানা গিয়েছে, এই ব্যক্তি উদ্ধার অভিযানের সময় বৈদ্যুতিক শক খেয়েছিলেন।

জুলাই ০৮, ২০২৫
খেলার দুনিয়া

এজবাস্টনে ইতিহাস ভারতের, ক্যানসার আক্রান্ত দিদির মুখে হাসি ফোটাতে পেরে তৃপ্ত আকাশ

এজবাস্টনে সকালের বৃষ্টিতে ১০ ওভার কমলেও শেষ দিনের দ্বিতীয় সেশনেই ঐতিহাসিক জয় ছিনিয়ে নিল ভারত। ম্যাচের সেরা শুভমান গিল ভারতের প্রথম অধিনায়ক যাঁর নেতৃত্বে বার্মিংহামে এই প্রথম টেস্ট জিতল ভারত। আগামী বৃহস্পতিবার শুরু লর্ডস টেস্ট। তার আগে পাঁচ টেস্টের সিরিজ আপাতত ১-১।দ্বিতীয় টেস্টের শেষ দিনে ভারতের দরকার ছিল ৭ উইকেট। এদিন আকাশ দীপকে প্রান্ত বদলে আক্রমণে আনেন গিল। তবে তাতে আকাশের অভ্রান্ত নিশানায় বদল আসেনি। অলি পোপকে (২৪) বোল্ড করে দেন। কিছু সময় পর হ্যারি ব্রুককে (২৩) দুরন্ত ডেলিভারিতে লেগ বিফোর। মধ্যাহ্নভোজের বিরতির ঠিক আগে ওয়াশিংটন সুন্দরের শিকার ইংল্যান্ড অধিনায়ক বেন স্টোকস (৩৩)।কিছুটা লড়াই চালালেন প্রথম ইনিংসে শতরান তথা সর্বাধিক রান করা জেমি স্মিথ (৮৮)। তিনি আকাশের পঞ্চম শিকার। আকাশের বলে ব্রাইডন কার্স (৩৮)-এর ক্যাচ গিলের হাতে জমা পড়তেই ভারতের ৩৩৬ রানে জয় নিশ্চিত হয়ে যায়। ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংস গুটিয়ে গেল ২৭১ রানে। আকাশ ৯৯ রানের বিনিময়ে ৬ উইকেট পেলেন, ম্যাচে ১০ শিকার। এই প্রথম টেস্টে ১০ উইকেট ও ইনিংসে পাঁচ উইকেট পেলেন। একটি করে উইকেট ঝুলিতে পুরলেন মহম্মদ সিরাজ, রবীন্দ্র জাদেজা, প্রসিদ্ধ কৃষ্ণ ও ওয়াশিংটন সুন্দর। সিরাজ ম্যাচে সাত উইকেট দখলের পাশাপাশি দুরন্ত ক্যাচও ধরলেন। রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলি, জসপ্রীত বুমরাহর অনুপস্থিতিতেও বড় জয় নিশ্চিতভাবেই গোটা সিরিজে মনোবল বাড়াল গিলদের।ম্যাচের শেষে বাংলার পেসার আকাশ দীপ জানালেন, তাঁর দিদি মাস দুয়েক ধরে ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই চালাচ্ছেন। এ কথা এতদিন কাউকে বলেননি। এখন দিদি স্থিতিশীল, কিছুটা ভালো। যখন বল হাতে নিচ্ছিলেন তখন বারবার দিদির মুখ মনে পড়ছিল। আকাশ এই পারফরম্যান্স দিদিকেই উৎসর্গ করছেন। আকাশের বিশ্বাস, তাঁর বোলিং দেখে খুশি হয়েছেন দিদি। তাঁর মুখে হাসি ফোটানোই লক্ষ্য। দিদির পাশে সব সময় থাকার বার্তাও দেন আকাশ। এদিকে, ইংল্যান্ড তৃতীয় টেস্টের দলে নিল গাস অ্যাটকিনসনকে। বোঝা যাচ্ছে, বোলিং বিভাগ জোরদার করতে চান স্টোকসরা। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় বলেছেন, ইংল্যান্ডের চেয়ে ভারতীয় বোলিংকে অনেক শক্তিশালী দেখিয়েছে। অনবদ্য ব্যাটিং পারফরম্যান্সের প্রশংসাও করেন মহারাজ। গিলদের জয়ে উচ্ছ্বসিত বিরাট কোহলিও।মনোজিৎ মৌলিক

জুলাই ০৬, ২০২৫
রাজ্য

বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি ও বিধায়কের প্রাণনাশের আশঙ্কায় তোলপাড়, বোমায় উড়েছে বাড়ি, মৃত্যু একজনের

পরিত্যক্ত বাড়িতে বোমা বাঁধার সময় বিরাট বিস্ফোরণে উড়ে গিয়েছে একাধিক বাড়ি। জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাতে বোমা বাঁধতে গিয়ে মৃত্যু হয়েছে এক দুস্কৃতীর। জখম হয়েছে আরও তিন সদস্য। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব বর্ধমানের কাটোয়ার রাজৌর গ্রামে। এই বিষ্ফোরণের পর প্রাণনাশের আশঙ্কায় আতঙ্কিত খোদ পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি ও কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূলের শীর্ষনেতার আশঙ্কায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে জেলার রাজনৈতিক মহলে।রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, আমার ওপর হামলা হতে পারে। আমাদের কর্মীদের ওপর হামলা হতে পারে। তার জন্য়ই বোমা বাঁধা হচ্ছিল। স্থানীয় বাসিন্দা তুফান চৌধুরী বোমা বাঁধছিল। তুফানের মাথার ওপর হাত ছিল জঙ্গল শেখের। বোমা ফেটে বাড়ি উড়ে যায় কাটায়োরার রাজৌর গ্রামে। জঙ্গল শেখের পরিকল্পানা ছিল পার্টি অফিসে আক্রমণ করা। পুলিশ সূত্রে খবর, শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯ টা নাগাদ রাজৌর গ্রামে ভয়ঙ্কর বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। বিস্ফেরণে মৃত্যু হয় বরকত শেখের(২৮)। এই দুষ্কৃতীর বাড়ি বীরভূমের নানুর থানার সিয়ালা গ্রামে। জখমরা হল সেখ তুফান চৌধুরী, ইব্রাহিম সেখ ও সফিক মণ্ডল। জখম তিন জনই রাজৌর গ্রামের বাসিন্দা। পুলিশ রাতেই চিকিৎসার জখম তিনজনকে কাটোয়া মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে। পরে তুফানকে বর্ধমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ তুফান চৌধুরীকে করেছে। এই তুফানই বোমা বাঁধার মূল পান্ডা। জানা গিয়েছে, তারা লম্বু শেখের বাড়িতে বোমা বাঁধছিল। গোটা ঘটনার তদন্ত করছে পুলিশ। ঘটনাস্থল ঘিরে রাখা হয়েছে। এলাকাবাসীদের অভিযোগ, বালি খাদানে দখলদারি করার উদ্দেশ্যেই এই বোমা বাঁধা হচ্ছিল। এতে নাম জড়িয়েছে প্রাক্তন তৃণমূল কাউন্সিলর জঙ্গল শেখের। তার নির্দেশে তুফানরা বোমা বাঁধছিল বলে অভিযোগ। বোমা বেশ উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন বলে মনে করা হচ্ছে। জঙ্গল শেখের নেতৃত্বে বোমা বাঁধা হচ্ছিল বলে দাবি করেছেন তৃণমূল জেলা সভাপতি রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। ২০১৫ সালে কাটোয়া পুরসভা নির্বাচনে তৃণমূলের কাউন্সিলর হয়েছিলেন জঙ্গল শেখ। এমনকী পুরসভার ভাইস চেয়ারম্যান হয়েছিলেন। তখন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় কংগ্রেসের বিধায়ক ছিলেন। পরে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়। জঙ্গল শেখ দীর্ঘ দিন জেলে ছিলেন। এখন জামিনে ছাড়া পেয়েছেন।

জুলাই ০৫, ২০২৫

Ads

You May Like

Gallery

265-year-old "Mukhopadhyay House" in Bhavanandpur, Kalnar, played vermilion on Dasami during Durga Puja
BJP candidate Locket Chatterjee campaigned on the banks of the Ganges from Chandannagar Ranighat to Triveni Ghat wishing New Year.
A living depiction of history with a touch of color, everyone is enthralled by the initiative of the Eastern Railway
Sucharita Biswas actress and model on Durga Puja
Lord Kalabau came up in palanquin; Navapatrika walked towards the mandap - the puja started
On Sunday, the 'Hilsa festival' is celebrated in the city with great joy.
Check out who has joined Mamata's new cabinet
Take a look at the list of recipients at the Bangabibhushan award ceremony
If you are grassroots, you will get ration for free. Lakshmi Bhandar, Kanyashree, Swastha Sathi, Krishakbandhu, Oikyashree, Sabujsathi — you will get all.

Categories

  • কলকাতা
  • রাজ্য
  • দেশ
  • বিদেশ
  • রাজনীতি
  • খেলার দুনিয়া
  • বিনোদুনিয়া
  • সম্পাদকীয়
  • নিবন্ধ
  • ভ্রমণ
  • রাশিফল
  • টুকিটাকি
  • চিত্রহার
  • বিবিধ
  • ভিডিও

Company

  • About Us
  • Advertise
  • Privacy
  • Terms of Use
  • Contact Us
Copyright © 2025 Janatar Katha News Portal